সুলভমূল্যে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) দেশেই তৈরি করেছে করোনা শনাক্তের কিট। উদ্ভাবিত নতুন এই কিটের বাজার মূল্য পড়বে মাত্র ২৫০ টাকা। দেশীয় এই কিট দিয়ে ৪-৫ ঘণ্টায় করোনার প্রাথমিক উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাবে।
ইতিমধ্যে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর এই কিট উৎপাদনে অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া কিটের এথিকেল ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল গবেষণা পরিষদ।
এ বিষয়ে বিসিএসআইআর জানায়, বর্তমানে সরকারিভাবে যে কিট ব্যবহার হচ্ছে তা অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। এক্ষেত্রে প্রতিটি করোনা পরীক্ষায় ব্যয় হয় আনুমানিক ৩-৫ হাজার টাকা। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৩১ লাখ ৫৮ হাজার ৭৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শনাক্তকরণ কিট সম্পূর্ণই আমদানি করতে হয়, যা দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করছে।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, করোনা রোগীদের জন্য বিসিএসআইআর’র নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় কিটটি উদ্ভাবিত হয়েছে। যা একটি সহজ এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতি। অন্যান্য আমদানি করা কিটের তুলনায় বেশি কার্যকরী এই কিট।
প্রসঙ্গত, মহামারি করোনাভাইরাসে টালমাটাল বিশ্ব। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। মহামারি করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বাড়ছে শনাক্তও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
জ রোববার রাজধানীর সায়েন্সল্যাবে প্রতিষ্ঠানটির মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।